পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০১২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মাতৃভাষার মর্যাদা আল্লাহর দান

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম “আমি সব পয়গম্বরকেই তাদের স্বজাতির ভাষাভাষী করেই প্রেরণ করেছি, যাতে তাদেরকে পরিষ্কার বোঝাতে পারে। অতঃপর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা সৎপথ প্রদর্শন করেন। তিনি পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়।” (সূরা ইবরাহিম, আয়াত : ৪) আল্লাহপাক ভাষাবিচিত্রতা ও জাতিবিচিত্রতাকে সৃষ্টি করেছেন তার সৃষ্টির নিদর্শন হিসেবে। আর তাঁর এ নিদর্শনকে রক্ষার জন্যই তিনি যে জাতির মুখে যে ভাষা ফুটিয়েছেন তাকেই তার ইবাদতের অর্থাৎ নামাজে কিতাব পাঠের যোগ্যতা দিয়েছেন। অনারবি ভাষা যদি তার ইবাদতের অযোগ্যই হতো তবে তার সব কিতাব ও সহিফাই নাজিল করতেন অনারবি ভাষায়। অনারবি ভাষা আল্লাহর ইবাদতের অযোগ্য হলে তাওরাত, যাবুর, ইঞ্জিল কিতাব ও সহিফাগুলো বিভিন্ন অনারবের বিভিন্ন ভাষায় নাজিল করতেন না। আল্লাহর বিধান হচ্ছে যার যার জন্য তার তার ভাষা। প্রত্যেক পয়গম্বরের জাতিসত্তার ভাষায় তার কিতাব ও সহিফা নাজিল করেই তিনি অকাট্যভাবে প্রমাণ করে দিয়েছেন, জাতিসত্তার ভাষা বা মাতৃভাষাই মানবাধিকার। ভাষাবিচিত্রতার মাধ্যমে তিনি বিশ্বমানবতাকে দিয়েছেন ভাষাগত মুক্তি এবং ভাষাবিচিত্রতার মাধ্যমে ভাষাগত মুক্তির দ

এক নির্মম, অমানবিক নিষ্ঠুরতার কথা

ছবি
একটি নির্মম, অমানবিক নিষ্ঠুর ঘটনা ঘটেছিল ভারতের আসামে। Nellie Massacre হয়েছিল আসামে ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩ সালে। এটি ৬ ঘণ্টা স্থায়ি হয়েছিল। এই হত্যা যজ্ঞে ৫০০০ মানুষ হত্যা করা হয়েছিল যার মধ্যে ৩৫০০-ই ছ িল শিশু(মুসলিম)।গণহত্যার মূল শিকার ছিল ৭১ এর যুদ্ধে ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশী মুসলমানরা। আসামের ১৪ টি গ্রামে এই হত্যা যোগ্য চালানো হয় গ্রাম গুলো সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেয়া হয়,তার মধ্যে একটি ছিল Nellie । এই হত্যার কারন ছিল মুলত আসামের বিরোধী দলের দাবী। তারা দাবী করে যদি অবৈধ আধিবাসিদের সরানো না হয় তবে তারা নির্বাচনে অংশ নিবে না। তাদের এই দাবির প্রেক্ষিতে ভারতের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী RSS এই হত্যা যোগ্য পরিচালনা করে। এই নির্মম হত্যার পর ভারত সরকার জুলুমের শিকারদের মাত্র ৫০০০ টাকা ধরিয়ে দেয়। ৩১০ টি মামলা হয় এই জঘন্য হত্যাকারিদের কিন্তু কোনটিরই পরে মিমাংশা হয়নি এবং অপরাধীরা কোন শাস্তি পায়নি। ৭১-এ পাকিস্তনিদের নির্মম পাশবিক হত্যাযজ্ঞের জন্য আমরা তাদের হায়না, পিশাচ ইত্যাদি উপাধি দিয়েছি।কিন্তু এই নিষ্পাপ শিশুদের যারা হত্যা করেছে তাদের আমরা কি উপাধি দিব? ভারত তাদের নিজেদের স্বার্থ

শেখার আছে অনেক কিছু...........

ছবি
অনেক কিছু শিখার আছে.. নিজেকে অনেক খানি বদলাতে হবে.. নিজের বিবেক কে জাগাতে হবে..  আপনার জীবন হয়ত আপনার কাছে পছন্দের না.. আপনি হয়ত খুশি না আপনার জীবন নিয়ে .. কিন্তু একটু এদিক অদিক চেয়ে দেখুন এমন হাজারো মানুষ আছে যারা আপনার জীবনের মতো জীবন চায় ..  আল্লাহ আমাদের কে হাত পা চোখ না মুখ সব দিয়েছেন .. তাঁর পরেও তাঁর শোকর আদায় না করে নাফরমানি করি..  আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক পথে চলার তাওফিক দান করুক।আমিন।

একাত্তরের টুকরো স্মৃতি

ছবি
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রধানতম কবি আল মাহমুদ। তাঁর প্রকৃত নাম মীর আব্দুস শুকুর আল মাহমুদ। ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোল্লাবাড়িতে বাংলা সাহিত্যের জন্য আশীর্বাদ হয়ে জন্মেছিলেন তিনি। ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি সময়ে পরোক্ষ-প্রত্যক্ষ ভূমিকা থাকায় আল মাহমুদ বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের একজন অন্যতম স্রষ্টাও। অপরদিকে আল মাহমুদ আবহমান বাংলা ও বাঙালি ঐতিহ্যের শ্রেষ্ঠ রূপকার। তার সৃষ্টির পরিধি এতো বিশাল ও ব্যাপক যে, তাকে একজন যুগস্রষ্টা হিসেবে চিহ্নিত করলেও অতিরঞ্জিত হয় না। সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর পরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।আল মাহমুদ আমার প্রিয় কবিদের একজন।একবার তিনি ১৯৭১ সালের কিছু  স্মৃতির কথা বলছিলেন।নিম্নে তা আলোকপাত করা হল। " সেই সময়কার সব ঘটনায় আমার স্মৃতিতে ধূসর হয়ে এসেছে। কোনো একটি পূর্ণাঙ্গ ঘটনা এমন নেই যা আগে কোথাও না কোথাও বলিনি। বলতে গিয়ে কখনও শিউরে উঠেছি , কখনোবা আনন্দ ও খুশিতে উদ্বেলিত হয়ে পড়েছি। আর এই মহান মুক্তিযুদ্ধে নিজেকে সম্পৃক্ত কর

সফল জীবনের জন্য বন্ধুত্ব

ছবি
আমরা মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব।আমাদের বলা হয় আশরাফুল মাখলুকাত।মানুষ কখনও একা থাকতে পারে না বা চলতে পারে না।জীবনের প্রতিটি সময়ে তার একজন বন্ধু বা সঙ্গী প্রয়োজন হয়।কেননা মানুষ সামাজিক জীব। তাদের জন্মই হয়েছে সমাজবদ্ধ হিসেবে বাস করার জন্য। সমাজ গড়ে ওঠে সমষ্টিকে নিয়ে , একাকি সমাজ গঠিত হয় না। সমাজে বিচিত্র শ্রেণীর লোক বাস করে। একেক জনের পেশা একেক রকম। তাই সমাজে একজনকে আরেকজনের প্রয়োজন পড়ে। এটা আল্লাহর এক অশেষ নিয়ামত।আর এই কারনেই সমাজবদ্ধতার প্রশ্নে মানুষ একে অপরের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। সঠিকভাবে যথার্থ বন্ধু নির্বাচন করার মধ্য দিয়ে মানুষ তার সামাজিক এবং ব্যক্তিগত জীবনকে সুষ্ঠু ও নিরাপদ করে তোলে।তছাড়া বন্ধুত্ব তৈরী মানুষের স্বভাবজাত প্রবণতা । ভালো বন্ধু ও সুন্দর বন্ধুত্ব জীবন যাত্রার সহায়ক এবং আল্লাহর নিয়ামত । পবিত্র কুরআনে আল্লাহ পাক বলেনঃ “ মুমিন পুরুষ ও নারীগণ পরষ্পর একে অন্যের বন্ধু ও সাহায্যকারী । ” - সূরা তাওবাহ মহানবী ( সাঃ ) বলেছেনঃ " মানুষ তার বন্ধুর দ্বী